রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৫০ ধারার ক্ষমতাবলে রাজস্ব অফিসার অর্থাৎ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ধারা-১১৬, ১১৭ ও ১৪৩ এর দ্বারা নামজারি/জমাখারিজ/জমাএকত্রিকরণ-এর যে আদেশ দিয়ে থাকেন তা উপযুক্ত প্রমাণাদির সাপেক্ষে রিভিউ বা পুনর্বিবেচনারও অধিকার রাখেন। উক্ত ১৫০ ধারার আওতায় যে সব কারণে বিবিধ মামলা দায়ের করা হয় সেগুলি হল -
নামজারি মামলা দায়েরের ফলে জমির মালিকের নামে সৃষ্ট খতিয়ানে কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকলে এবং উক্ত ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে অন্য কোন নামজারি মামলার সম্পৃক্ততা থাকলে মিছ্ বা বিবিধ মামলা দায়েরের আবেদন করতে হয়। উদাহরণসরূপ- কোন নামজারি খতিয়ানে দখল অনুযায়ী খতিয়ান না হয়ে থাকলে অথবা জমির পরিমাণ কম-বেশি হলে ইত্যাদি।
খতিয়ানে কোনরূপ করণিক ভুল থাকলে বিবিধ মামলা দায়েরের মাধ্যমে করণিক ভুল সংশোধন করা যায়।
কোন ব্যক্তি কোন জমির মালিকানা লাভ করলে প্রার্থিত জমিতে পূর্বে অপর কোন ব্যক্তি নামজারি করিয়ে থাকলে এবং এই কারণে জমির স্বল্পতা পরিলক্ষিত হলে প্রথমে উক্ত নামজারি খতিয়ান বাতিল বা সংশোধন এবং তারপর নিজ নামে নামজারিকরণের উদ্দেশ্যে প্রথমে বিবিধ মামলা দায়ের করতে হয়।
রিভিউঃ
স্টেট একুইজিশন এণ্ড টেনান্সি এ্যাক্ট-এর ১৯৫০-এর ১৫০ ধারায় রিভিউ-এর কথা বলা হয়েছেঃ
১৫০ ধারা (১) উপধারাঃ কোন রেভিনিউ অফিসার কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পার্টির দরখাস্তের ভিত্তিতে অথবা স্ব-উদ্যোগে নিজ কর্তৃক বা তার পূর্ববর্তী অফিসার কর্তৃক এ অংশের অধীনে পাশকৃত যে কোন আদেশ রিভিউ করতে পারবেন এবং কোন আদেশ বিচারের পর উক্তরূপে আদেশ পরিবর্তন, রদ অথবা বহাল করতে পারেনঃ
শর্ত থাকে যে,
(ক) উক্তরূপ আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে পুনঃবিচারের জন্য আবেদন না করলে অথবা যে ক্ষেত্রে উক্ত দরখাস্ত ত্রিশ দিন মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পর দায়ের করা হয় এবং নির্ধারিত মেয়াদের জন্য দরখাস্ত না করার যথেষ্ট কারণ দেখিয়ে অফিসারকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে তার আবেদনপত্র গ্রহণ করা যাবে না;
(খ) উক্তরূপ আদেশের বিরুদ্ধে যদি কোন আপীল দায়ের করা হয় বা ঊর্ধ্ধতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট যদি এরূপ আদেশ রিভিশন করার জন্য আবেদন করা হয় তবে আদেশটি রিভিউ করা যাবে না; এবং
(গ) অপরপক্ষকে উপস্থিত হওয়ার ও শুনানির জন্য যুক্তিসংগত নোটিশ না দিয়ে রিভিউয়ের মাধ্যমে আদেশ পরিবর্তন করা যাবে না;
(ঘ) রিভিউয়ের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল চলবে না।
রিভিউ কার্যক্রমের সম্ভাব্য স্তরঃ
পর্যায়-১: আবেদন অথবা স্ব-উদ্যোগে কার্যক্রম গ্রহণ;
পর্যায়-২: মিস কেস নথি সৃজন ও মূল নথি তলব ও তদন্তাদেশ;
পর্যায়-৩: পক্ষগণকে নোটিশ প্রদান;
পর্যায়-৪: শুনানি ও রেকর্ডপত্র এবং তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই;
পর্যায়-৫: সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আদেশ প্রদান।
বিবিধ মামলা দায়েরের পদ্ধতি:
একটি সাদা কাগজে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর কি ধরণের প্রতিকার পেতে আগ্রহী তা বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে। এছাড়া বিবাদীর নাম, বিবাদীর নামে কোন খতিয়ান সৃজিত হয়ে থাকলে তার বিবরণ এবং নিজের স্বত্ব কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বিবরণ থাকতে হবে;
নামজারি আবেদনের মতো ২০/- (বিশ) টাকা কোর্ট ফি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে;
আবেদনে উল্লিখিত যুক্তির স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।